খাঁটি গাওয়া ঘি দুধের একটি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য উপাদান। হাজার বছর আগে বাঙালির খাবারে ঘি-এর উৎপত্তি। শুধু পোলাও, বিরিয়ানি বা ভর্তা নয়, গরম সাদা ভাতের সাথেও ঘি অনেকের প্রিয়। অনেকে মজা করে বলেন “পান্তা ভাতে ঘি”। সুতরাং প্রাচীন সময় থেকেই গাওয়া ঘি এর চাহিদা রয়েছে।
আর আমরা সবাই জানি বাংলাদেশের পাবনা অঞ্চল সেরা মানের ঘি এর জন্য প্রসিদ্ধ। এখন মনে প্রশ্ন জাগতে পারে পাবনার ঘি এত বিখ্যাত কেন? ৬৪ টি জেলায়ই আমরা পাবনার খাঁটি ঘি নিয়ে এত কথা শুনি কেন? পাবনার খাঁটি ঘি অনেক আগে থেকেই প্রসিদ্ধ। পাবনা অঞ্চলজুড়ে ঘি একটি প্রাচীন ঐতিহ্য।
ঘরে বসে পাবনার খাঁটি ঘি কোথায় পাবো ? আপনার মনে যদি এমন প্রশ্ন আসে তা হলে আপনি নির্দ্বিধায় Ghorerbazar-এর গাওয়া ঘি খেয়ে দেখতে পারেন। আমরা সারাদেশের ঘি-প্রেমী মানুষের কাছে বিশুদ্ধ পাবনার ঘি নিয়মিত ভাবে পৈৗঁছে দিচ্ছি। আমাদের ঘি এর কারিগরেরা অত্যন্ত যত্ন সহকারে দক্ষ হাতে সময় নিয়ে এই ঘি তৈরি করেন। যুগের পর যুগ এই ঘি তৈরি পেশায় কাজ করার সুবাদে ঘি তৈরিতে তাদের দক্ষতা অনন্য। কয়েক প্রজন্ম ধরে চলতে থাকা ঘি তৈরির এই পেশার প্রতি ভালোবাসা থেকেই তারা ঘি তৈরি করে আসছেন। তাই আমাদের ঘি-তে শুধু স্বাদ আর পুষ্টি নয় মিশে আছে ভালোবাসা। ইতিমধ্যে অনেকেই আমাদের গাওয়া ঘি রান্নায় ব্যবহার করে সন্তষ্টি প্রকাশ করেছেন। কথার ফুলঝুরি দিয়ে পণ্য বিক্রি নয় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নিরাপাদ খাদ্য সংগ্রহ ও পুষ্টিগুন বজায় রেখে ক্রেতার হাতে সঠিক মানের পণ্য পৌছে দেওয়ায় আমাদের লক্ষ্য। তাই দেরী না করে অর্ডার করে ফেলুন Ghorerbazar-এর গাওয়া ঘি এবং আপনার পরিবাবের সাথে খাবারের স্বাদ উপভোগ করুন!
গাওয়া ঘি এর উপকারিতা-
- গবেষকদের মতে, গাওয়া ঘি বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর। এ কারণেই আয়ুর্বেদে ওষুধ হিসেবে ঘি ব্যবহার করা হয়।
- ঘি তে উচ্চ পরিমাণে কনজুগেটেড লিনোলেনিক অ্যাসিড রয়েছে, যা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং ক্যান্সার ও হৃদরোগের মতো জটিল রোগ প্রতিরোধ করে।
- এতে থাকা ভিটামিন “এ”, “ই”, “ডি” এবং “কে” হাড়কে খুব শক্তিশালী করে এবং ঘি মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করে। আর বিউটারিক অ্যাসিড মানবদেহের পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- গাওয়া ঘি প্রোটিন, ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে সমৃদ্ধ। এছাড়াও স্যাচুরেটেড, মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে।
- পুষ্টিবিদরা জানান, দুধে কেসিন নামক রাসায়নিক উপাদান থাকে এবং এর উপস্থিতির কারণে অনেকের পেটে ঘি হজম হয় না। কিন্তু পেটে ঘি হজম না হলেও খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ।
পরিশেষে বলা যায়, ঘি এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে ঘি খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলোও বিবেচনায় রাখতে হবে। শারীরিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং ঘি খান।
গাওয়া ঘি চেনার উপায়
- ঘি খাঁটি কিনা তা বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হল একটি প্যানে গরম করা। গরম প্যানে এক চামচ ঘি দিন। যদি সাথে সাথে গলে এবং গাঢ় বাদামী রঙে পরিণত হয়, তবে এটি খাঁটি ঘি। যদি ঘি গলতে সময় লাগে হলুদ হয়ে যায় বুঝবেন আপনি ভুল করছেন। এটি খাঁটি গাওয়া ঘি নয়।
- আপনার তালুতে ১ চা চামচ ঘি নিন। ত্বকের সংস্পর্শে এসে যদি ঘি নিজে থেকেই গলে যায়, তাহলে সেটি খাঁটি গাওয়া ঘি।
গাওয়া ঘি সংরক্ষণ পদ্ধতি
- বাতাস প্রবেশ করতে পারে না—এমন জারে ঘি রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো।
- এটা রান্নাঘরের কেবিনেটে অন্ধকার ও ঠাণ্ডা স্থানে রাখতে হয়।
- ঘি এর জার এয়ার টাইট হলে আর রেফ্রিজারেটরে রাখার দরকার নেই।
- জারের মুখ সবসময় আটকে রাখতে হবে।
- ঘি উঠাতে হবে শুকনা চামচ ব্যবহার করতে হবে।
Add your review
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Please login to write review!
Looks like there are no reviews yet.